ঢোলকলমি (Pink Morning Glory)

Scientific Name: Ipomoea carnea

খুবই সুপরিচিত এবং আমার পছন্দের একটি ফুল। ঢোলকলমি নেই বাংলাদেশে, এমন গ্রাম আছে কি না বলা মুশকিল। গ্রামে বেড়া দেওয়ার কাজে এটি বহুল ব্যবহার্য একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। ব্রাজিলের আদিবাসীরা এর কাণ্ড তামাকের পাইপ হিসেবে ব্যবহার করে। এর কাণ্ড দিয়ে কাগজ তৈরি করা হয়। কিছু ভেষজ গুণও রয়েছে এ উদ্ভিদে।

ধারণা করা হয়, আদি বাসভূমি সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার পেরু ও বলিভিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে স্প্যানিশ পাদরি সাহেবেরা সপ্তদশ শতকে হিমালয়ের কাশ্মীর ও কাংড়া উপত্যকায় গির্জার বাগানে লাগানোর জন্য নিয়ে আসেন। আর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারতবর্ষে।

ঢোলকলমি

শিয়ালকাঁটা, স্বর্ণক্ষীরা, স্বর্ণদুগ্ধা, রুক্সিণী, সুবর্ণা, হেমদুন্ধী, কাঞ্চনী

বৈজ্ঞানিক নাম:- Argemone mexicana (আর্জিমোন মেক্সিকানা)

শেয়ালকাঁটা যত্রতত্র জন্ম ও অনাদরে বড় হলেও ফুলের সৌন্দর্য অসাধারণ। এটি একটি কাঁটাযুক্ত পপি জাতীয় (প্যাপাভারেসি গোত্রের) উদ্ভিদ যার উৎপত্তিস্থল ও আদিনিবাস মেক্সিকো আর সেখান থেকেই বাকি বিশ্বে একটি আগাছা হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে।

ধারণা করা হয় যে, ষোড়শ শতকে স্প্যানিশ বাণিজ্যিক জাহাজে আলুর বস্তা ও মাটির সঙ্গে এই গাছের ছোট ছোট বীজ চলে এসেছিল আমাদের দেশে। তারপর থেকে এদের আবাস বন-জঙ্গল, ক্ষেত-খামার, রাস্তার পাশে, বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড়।

শিয়ালকাঁটা

নয়নতারা, গুলফেরিংগী, কটকতারা, সদাবাহার, সদাসোহাগী।

এর উৎপত্তিস্থল ও আদিনিবাস মাদাগাস্কার হলেও আবাসস্থল ধ্বংসের কারনে এখন সেখানেই এটি বিপিন্নপ্রায় একটি উদ্ভিদ। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মাদাগাস্কার থেকে বীজ নিয়ে এসে প্যারিসে এর চাষ শুরু হয় এবং এর পরবর্তীতে সেখান থেকে ইউরোপিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেনে ও গ্রীষ্মপ্রধান ও উপ-গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে এর ব্যপ্তি ছড়িয়ে পরে। আফ্রিকা মহাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোতে এটি বহুল পরিচিত একটি উদ্ভিদ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটির নাম দিয়েছেন নয়নতারা।

নয়নতারা